করোনা ভাইরাসে গোটা পৃথিবী যখন বিধ্বস্ত। ঠিক ওই সময় শখের ক্যামেরা বিক্রি করে দিলেন দুস্থদের সেবায়! শখের ক্যামেরা একটা আঁচড় পড়লেও মন খারাপ হত। যত্ন-আত্তিরও কম হত না! কিন্তু সেই ক্যামেরা কিনা বিক্রি করে দিলেন দুস্থদের সেবায়!
সে ব্যক্তি হল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র শাখাওয়াত হোসেন সাকিব। তিনি কবি নজরুল কলেজের বর্তমান ছাএ।বর্তমান সময়ে ছাত্রদের অবস্থা ভালো নেই সবারই জানা, সেই দিকে তাকিয়ে নিজের শখের DSLR বিক্রি করে দেয়।আর সে অর্থ দান করেন এলাকায় যাদের অর্থের প্রয়োজন এমন ছাএদের। তাদের বিকাশ নাম্বার জোগাড় করে অর্থ পাঠায়, কিন্তু এখানে মজার বিষয় কাউকে বুঝতে দেয়নি এই টাকা কে দিয়েছে। যে পেয়েছে সে ও জানে না কেনো দিয়েছে বা কে দিয়েছে।
সে সময়টাতে আমাদের প্রচলিত ধারনার কারনে মানব কল্যাণ কথাটা অনেকখানি সস্তা আর মামুলি অর্থেই ব্যবহৃত করে থাকি।
এক দুইটাকা ভিক্ষা দেওয়াকেও আমরা সমাজসেবা বলি।আবার নিজেকে সমাজসেবক দাবি ও করি।মনুষ্যত্ববোধ আর মানব মর্যাদাকে ছোট করা হয় তা আমরা সাধারণত উপলব্ধি করি না।
যেখানে ইসলামে বলা আছে - "উপরের হাত সব সময় নিচের হাত থোকে শ্রেষ্ঠ। "
এখানে নিচের হাত মানে গ্রহিতা আর উপরের হাত মানে দাতা।
সমাজ সেবা মাণুষের মর্যাদাবোধ বৃদ্ধি আর মানবিক চেতনা বিকাশের মধেই নিহিত।


0 Comments